অচেনা ভুবন হতে ভাষাহীন ধ্বনি দিয়ে
প্রাণের পরশে মহান যে সে অচিন সবার চেয়ে।
চেতনারে স্পর্শে জাগায়ে সাজানো ছন্দের মন্দির
স্বপ্নের সংকেতে ভরে দেয় সুধা অপূর্ণ সৃষ্টির।
যুক্তি নয় তর্ক নয়-ফেরিওয়ালার সুক্ষ ডাক মনকে ভুলায়
নির্মম সত্য যত উজ্জ্বল হয়ে জীবনের ঋণ নিভৃতে লুকায়।
স্বপ্নের মাঝে সান্ত্বনা খোঁজে-যদি মেলে কোন কিছু
এলোমেলো ভাবনা সকল কিছুতেই ছাড়ে না তো পিছু।
খেয়ালের বশে বাঁধা প’ড়ে শেষে সীমাহীন তেপান্তরে
বারে বারে সে নিজেরে ভুলায় গিয়ে অন্যেরে ভোলাবারে।
সৃষ্টি যখন হেসে ধরা দেয় এসে এ বিশ্বস্রষ্টার মাঝখানে
কোন কথা থাকে না তো আর কারো কোন অভিধানে।
সূর্য ডোবার শেষে সন্ধ্যা যেমন হেসে ডাকে সন্ধ্যাতারায়
কখনো গভীর রাতে বর্ষার নিঝুম প্রাতে লুকায় আলোছায়ায়।
নিখিলের ভাষা সব বন্ধ করে কলরব প্রভাতের অপেক্ষায়
অপরাধের অভিযোগে ঊষালোকের খোঁজে রাত্রি পোহাতে চায়।
যখন প্রভাতের আলো ছাড়িয়ে শৃঙ্গরাশি আকাশ ভরায়
কীর্তি কাঁখে নিয়ে বোবা অতীত যেন নিজেরে শাসায়।
সব পেয়েছির রেশ যেন হার মানে সব হারানোর কাছে
পোড়ো জমির শেষ সীমানায় শুধু খেলা-ই প’ড়ে আছে।
**********