আনিবে প্লাবন-রক্তে-কন্ঠে এমনি অবেলা
লালে লাল শত যুব-তরু প্রাণ, ভাঙ্গিবে এ প্রাচীর।
রুধিবে কে?বাধিবে কে?আজি এ উত্তালবেলা
লড়াকু লড়িয়া দানিয়াছে আপন প্রাণ তাহার
মন্ত্রে-তন্ত্রে দানিবে লেলিহান শিখা।
খরা-জরা,ছিন্ন-কদকায় যত সব লুটেরা
রুধ প্রাচীরের ওপারে নিয়েছে যত দীক্ষা
ক্ষত প্রাণে আনিবে অন্ধ-রুক্ষ-তারা।
কারা-তালা শৃঙখল ভাঙ্গিবে দীপ্ত চরণে
নয়ন তারা জ্বলিবে প্রলয় রূক্ষ-হুকারে।
ছুটিবে তুমি রিক্ত হস্তে ,ভুলিয়া সব আপন প্রাণে
নহে তব তরে অন্জ্ঞলি,নম-নম-নম করে !
সবুজ সমারহে জ্বালিয়াছো অগ্নি আপন ক্রোধে
ধরনীর ললাটে আঁকিলে তব রক্তের নখর।
রুক্ষ-শুক্ষ ক্ষেত-মজুর ,কামার-কুমার, প্রেমে-ক্রোধে
ধরিয়াছে হাল,ছেদিয়া-ভেদিয়া অতল পাতাল পুর
রুখিবে কে স্নায়ু ? প্রমত্ত জল স্রোত,হিম-গিরী
রিক্ত বদনে বাধিয়াছে এ বন্ধন কালো আর গৈারী।