দিকে দিকে বিদ্রোহ আজিকে, দেশ গেছে রসাতলে,
লেখনী আমার বিদ্রোহী হয়ে, কবিতায় কথা বলে।
যাদের রক্তে, আজ হয়েছে লেখা, রক্ত মাখা ইতিহাস,
জোর করে, যারা খায় কেড়ে, অনাহারীর মুখের গ্রাস।
গরীরের রুটি কেড়ে নিয়ে যারা, কুকুরকে দেয় খেতে।
বুলেটে বিদ্ধ মৃত মানুষের দেহ, পড়ে থাকে রাজপথে।
অনাহারী দেহে, দেখি নির্বিচারে, যাদের চাবুক চলে,
অশান্ত লেখনী বিদ্রোহী হয়ে, তাদেরই কথা বলে।
সতী নারীর সিঁথির সিঁদুর, জোর করে যারা মোছে,
স্বামী হারানো বিধবার ব্যথা, বল কেবা আজ বোঝে?
ঝরা ফুলের কান্নাতে আজ, সারা দেশ গেছে ছেয়ে,
সন্তানহারা মায়ের অশ্রু আজ, ঝরিছে দু’চোখ বেয়ে।
কুমারী মায়ের, মৃতদেহ আজ, ভাসিছে নদীর জলে,
অশান্ত লেখনী বিদ্রোহী হয়ে, তাদেরই কথা বলে।
কপটের দল শকট চালায়, অভিশপ্ত নাচঘরে,
নিয়তি যাদের, ভাগ্য নিয়ে, দিনরাত খেলা করে।
সবুজ আলোয় আঁধার নামে, মদিরার পেয়ালায়,
কান পেতে শুনি, নুপুরের ধ্বনি, বুক ফাটে কান্নায়।
পতিহারা সতী, লাঞ্ছিতা আজি, ভাসিছে আঁখিজলে,
অশান্ত লেখনী বিদ্রোহী হয়ে, তাদেরই কথা বলে।
দিকে দিকে বিদ্রোহ আজিকে, দেশ গেছে রসাতলে,
লেখনী আমার বিদ্রোহী হয়ে, কবিতায় কথা বলে।