সভ্যতার প্রত্যাশা

মোহাম্মদ কাশেম

 

ঈস তুমি কত সুন্দর গোলাপের আভা!

কত সুন্দর তোমার অংগের শোভা

কত সুন্দর তোমার হাসির নির্যাস!

কত সুন্দর তোমার অংগের সুভাষ!

 

পথিকেরা পথ ভুলে

তোমার কাছেই আসবে চলে,

যদি সে একবার দেখে মন ভুলে।

 

সুযোগ পেলেই কোন ভ্রমর এসে

গুন গুন গান গাইবে পাশে,

যা তোমার মনকেই শুধু ভুলাবে।

 

অথবা একটু সুযোগ পেলেই

ছল চাতুরীর বায়না দিয়ে,

তোমার সততা হরণ করে যাবে।

 

এভাবে কী চলে কেউ পথ ?

নিলজ্জ শ্রাবণের মেঘের মত,

দেহের সকল রুপ ভাসমান যত।

 

তোমার কী কলংকের একটুও নেই ভয়  ?

তোমার কী লোক চক্ষুর একটুও নেই ভয়?

তোমার কী লাজ লজ্জা একটুও নেই ?

নেই কী জাত সত্তার কোন অপমান বোধ ?

 

আট সাট পোশাক পরে কেন

প্রস্ফুটিত করেছ দেহের পূর্ন অবয়ব?

ঠোট দুটোয় রক্তিম বার্ণিশ করে

কপালে দিয়েছ সর্প চিত্র টিপ ?

পা দুটি সামনে এলিয়ে দিয়ে বসে

উড়িয়েছ শ্যাম্পু মাখা ঝরঝরে চুল ?

নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে কেন ঢেউ তুলছো

দেহের দর্শন নিষিদ্ব অংগযুগল ?

আড় চোখের  মায়াবী চাহনি দিয়ে

শীকার করছো নিষিদ্ব শীকারী ?

বাঁকা ঠোটের মিটি মিটি হাসিতে

পরিবেশটাকে করছো ভীষণ ভারি ?

 

তুমি নিজেই নিজের পরিচয় করে দিয়েছ

তোমার অভ্যন্তরে বসবাসরত অভদ্রতার।

তুমি নিজেই নিজের পরিচয় করে দিয়েছ

তোমার কুরুচি,র্নিলজ্জ আর নগ্ন চিত্ততার।

 

তোমার এরুপ দুর্বলতার সুযোগে

জুড়ে বসতে পারে অসংখ্য কলংক।

খুলে নিতে পারে গেঁথে থাকা পাপড়ি

বা পেয়ে যেতে পারে চরিত্র হননের গুপ্ত সিড়ি।

 

আমার ভয় হয়, বড় ভয় হয়

যদি তোমার,

সুন্দরের অন্তরালে অসুন্দরের ছোয়া

লেগে যায়।

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes