প্রতিশোধের স্পৃহা

মোহাম্মদ কাশেম

 

এই ক্ষুদে ছেলে ওদিকে যেওনা

কেন ?

ও দিকে জুজু বুড়ীর ভয় আছে।

আমি কী এখনো কচি খোকা

না অবুঝ পিচ্ছি ছোঁড়া ?

জুজু বুড়ীর ভয়তো?

সে অনেক আগেই চলে গেছে।

 

শনি, রবি ,সোম সপ্তাহ ভরা

নিতুই দেখি বিশ্ববিদ্যালয় এর

আংগিনার বিরাজমান ধারা,

ফুটন্ত টগবগে জলের ফুয়ারা

কতইনা কীট, কতইনা টিকটিকি

ঝলসে যায় হেথা রোজ রোজ।

 

গুড়ুম গুড়ুম প্রকান্ড শব্দ থেমে থেমে ছুড়ে

স্বয়ংক্রিয় কাঁটা রাইফেলের বুক চীরে।

ওহঃ আহঃ কোকানেো শব্দে

ভীতিকর পরিবেশ গড়ে উঠে,

ওদের রক্ত কুকুর চেটে চেটে

নোনাক্ত স্বাদ যখন নেয় ঠোটে,

নির্বাক নয়নে সেই দৃশ্য দেখি বটে।

 

মহা আনন্দে ধৈর্য ধরে উপভোগ করি

তাঁদের এলোপাথারী দৌড়াদৌড়ি,

আর ককটেল ,বারুদের উদ্ভট গন্ধ।

 

নিরনান্দ চিত্ত ভরে উঠে

তখন এক গভীর আনন্দ,

বলুনতো এই সাহসী চিত্তকে

জুজুবুড়ী কীভাবে করে পছন্দ ?

 

আমার পাড়ার বখাটে যুবকেরা

তাঁদের বিচিত্র হাতিয়ার নিয়ে,

সুযোগ পেলেই অংগ ছুয়ে

আমার বিধবা মাকে জ্বালায়।

 

আমি দেখেও না দেখার ভান করে

ভীতু হয়ে থাকতে পারিনা বসে ঘরে,

প্রতিশোধের নেশায় উম্মত হয়ে

ছুটে যাই,বাস্তব তালিম নিতে,

উত্তপ্ত ক্যাম্পাসের উত্তপ্ত লড়াইয়ে।

 

কিন্তু আমার স্বয়ংক্রিয় সচেতন বিবেক

আমার চলার পথ আটকে দিয়ে বলে,

ছিঃ ছিঃ ঐ পথে যেয়োনা

ও হে কচি ছেলে,

অন্যায় পরিহার করে ন্যায়ের পথে আস

এখানেও অনেক প্রতিশোধের পথ আছে।

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes