মোহাম্মদ কাশেম
মা তুই ভাংগিস না আর
রক্ত দিয়ে গড়া এই সোনার ঘর।
জানিনা তুই কোন খেয়ালে
করিস তোর সন্তানদের পর।
কোন খেয়ালে আদর করে
দিস তাঁদের হস্তে হাতিয়ার।
কোন খেয়ালে মন্ত্র দিয়ে
বানাস তাঁদের তোর কেয়ারটেকার।
কোন খেয়ালে দিসনা তাঁদের
একটু খানি পড়তে সময়,
স্কুল,কলেজ সব শিক্ষা খাতে
দেখাস শুধু জুজু বুড়ির ভয়।
ডকিস তাঁদের বিনয় করে
আদর দেখাস বক্ষ চীরে।
লক্ষ্যি ছেলেকে চুপটি করে
ঘুম পড়াও আঁচল তলে।
সকাল বেলায় ভবঘুরে ছাত্র
বিকাল বেলায় সন্ত্রাসী,
সন্ধ্যা বেলায় রাজনীতিবিদ.
এমনিভাবে একেক করে
দেও প্রমোশন চক্রাকারে।
সকাল বেলায় কলেজ এলে
বিকাল বেলায় যায়না ফেরৎ,
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে
গোসল করায় সবুজ শস্য ক্ষেত।
গোলাবাজে টাকঢুম টাকঢুম
রাইফেল বাজে ঝনাৎ ঝনাৎ,
চাকু চলে সনাৎ সনাৎ,
হক স্টিক চলে ধপাধপ।
নিরব পথে পথিক পেলে
ঝপাৎ করে ধরে আস্তিন চেপে,
দেওনা ভাইয়া সবকিছু
পকেট খরচটা চলুকনা একটু।
পথের মাঝে নারীর গন্ধ পেলে
চলার ছন্দে তাদের পতন ঘটে,
নেয় কেড়ে গয়নাগাটি,টাকা কড়ি
এমন কী নারীর মূল্যবান সম্ভ্রম বটে।
চুরি করে,ডাকাতি করে,
হত্যা করে, ধর্ষণ করে,
চাঁদাবাজি করে, সন্ত্রাসী করে,
লুচ্চামী করে, গুন্ডামী করে,
সাইকেল ভাংগে, গাড়ী ভাংগে,
রিকশা ভাংগে, বাড়ী ভাংগে,
হৃদয় ভাংগে, আশা ভাংগে,
শান্তি ভাংগে, শৃংখলা ভাংগে,
পরিবার ভাংগে, সমাজ ভাংগে,
জাতী ভাংগে, দেশ ভাংগে,
এই কী তোর মা আদর্শ শিক্ষা ?
রাতের আধার গভীর হলে
তোর ছেলেরা পথ চলে,
সংগে নিয়ে সেই মক্ষি রাণী
জাতীর গলায় কলংক পরায় যিনি।
সারারাত চালায় গোলাগুলি
গেরিলা যুদ্ব আর রংবাজি,
ভোর হতেই দেখি অনেক যোদ্বার
নিথর দেহ রক্তে শুয়ে একাকার।
এ দল ও দল শুধু দ্বন্দ
মা তোর ঢোলের অপরুপ ছন্দ,
ধা তিং তিং তাক তাক
একই ঢোলক ঢোল বাজাতে থাক।
আমিই সব শোনরে তোরা
কীসের সুখ কীসের শান্তি,
কীসের সাম্য, কীসের মৈত্রি,
কীসের প্রেম, কীসের প্রিতী,
কীসের বিনয়, কীসের মিনতি,
কীসের প্রতিজ্ঞা,কীসের প্রতিশ্রুতি,
আমার ইচ্ছাই আসল ইচ্ছা
আমার তন্ত্রই আসল গণতন্ত্র।
এমন যদি হয় তোমার রুপ
দেখবে একদিন,খুব দ্রুত
ভাংগবেই ভাংগবে জনতার মায়াবী ঘুম।