<p style=”text-align: left;”><strong></strong></p>
ঘুম ভাঙতেই সে এসে দাঁড়িয়েছিলো বারান্দায়।
মেঘে ঢাকা দু’চোখ, তার খোলা চুলের আড়াল থেকে
উঁকি দিচ্ছিলো একটু রোদের উষ্ণতার জন্য।
মেয়েটি রোদের অপেক্ষাতেই দাঁড়িয়েছিলো বারান্দায়।
রদ্রু এলো
এসে বসলো তার ঘন কালো চুলে
বসলো তার মেঘলা চোখের উপর
তারপর নাক, ঠোঁট আর…
আর তারপর গোটা শরীর জুড়ে।
নারীর শরীরের অসংখ্য ভাঁজ,
অসংখ্য বাঁক নদীর জীবনের মতো,
আর সৌন্দর্য যেন বিচ্ছুরিত হয়
যখন শীতের স্নিগ্ধ রদ্দুর এসে বসে নদীর বাঁকে।
সুন্দর সে আরও সুন্দর
ভরা যৌবন তার
দু’চোখে তার মেঘ ঢেকে গিয়ে
শুধু রদ্দুর এখন।
মেয়েটি তার সমস্ত শক্তি, সাহস আর আদর দিয়ে
গায় মেখেছিলো রদ্দুর,- শান্ত-স্নিগ্ধ রদ্দুর।
আর তার অবুঝ চোখের অহংকারে
জড়িয়েছিলো ঘোলাটে মেঘের আনাগোনা।
রদ্দুর সরে গিয়ে বৃষ্টি এলো একদিন।
বৃষ্টি তার দু’চোখ জুড়ে।
থমথমে আকাশ তাকে বলে গেলো- রদ্দুর ফিরবে না কোনোদিনই।
মেয়েটি তবু বারান্দায় অপেক্ষারতা।
দু’চোখে নেমেছে চৈত্রের খরা।
বৃষ্টিও বিদায় নিয়েছে হল বহুদিন।
শুকিয়ে গেছে ক্লান্ত নদী
সে আর হাসে না- কাঁদে না,
বুক জুড়ে শুধু হাহাকার।
তবু বারান্দায় রদ্দুর আসেনি,
আর আসবে না কোনোদিনই॥
|প্রত্যূষা সরকার