-মোহাম্মদ কাশেম
Jago Janata Jago Bangladesh
অসাহায় দৃষ্টি,চোখ ভরা জল নিয়ে
হাসপাতালে শুয়ে আছে ফেলানি,
প্রায় তিন দিন পার হয়ে গেল
একবার ও সে সত্য ঘটনা বলেনি।
চাপা কান্না আর বুক ভরা ঘৃনায়
তাঁর চিত্ত ভরা খুব বিষন্ন,
ঝড় আর কঠোর বজ্রপাতের আঘাতে
ও আজ অত্যান্ত ছিন্নভিন্ন।
অপহৃতের প্রতিটি সময় কেটেছে তাঁর
জীবন্ত আগ্নেয়গিরীর গুহায় বসবাসের মত,
দেহের প্রতিটা অংগে অংগে ফুটে উঠেছে
রাতভর ধর্ষণের নানা বর্ণের বহু ক্ষত।
হঠাৎ হঠাৎ চমকে চমকে উঠে বলে
মা মা আমাকে বাঁচাও,
ঐ এল ঐ এল কুকুর
শিঘ্রই এদের দূরে তাড়াও।
না ফেলানি না সে তো তোর বাবা
না না মা এটা একটা কুকুর,
আর এটা তোর বড় ভাই
না না মা এটাও একটি কুকুর,
আর এটা ,এটা হচ্ছে তোর দাদা
না না না এটাও একটি কুকুর।
এ কী বলছিস মা
তুই কী পাগল হয়ে গেলি?
না মা না পাগল হয়নি
কীভাবে আমার কষ্টের কথা বলি ?
প্রতিটি দিবসের প্রতিটি সেমি সেকেন্ডে
প্রতিটি মুহুর্তে, পালা বদল করে,
ক্ষূদার্থ হাংগরের মত খাবলে খাবলে খেয়েছে
আমার দেহের প্রতিটি স্পর্শ কাতর স্থানে।
হ্যা হ্যা কুকুর,কুকুর
আমি বলছি,আমার দৃষ্টিতে
এই পৃথিবীর সকল পুরুষই কুকুর,
নারী লোভী,নারী খাদক
সীমাহিন নিলজ্জতার জাতক।
ফেলানির দৃষ্টিতে মিশ্রিত তীর্যক ঘৃনা
অন্তরে প্রতিস্থাপিত পাহাড় সম ক্রোধ
কে পারবে রুখতে তা আমি জানিনা,
না ,এ সমাজে এসব বলতে মানা
তাও জানিনা,আমি তাও জানিনা।