বর্ণহীন জগৎ

মোহাম্মদ কাশেম

এক এক করে অনেক গুলো বাঘ মারা গেল

অজানা,অচেনা নাম না জানা কিছু ভাইরাসে,

কিছু ছিল বেঁচে,যারা সংখ্যাই খুবই নগন্য

কৌশলে বিড়াল তাদের নিজের করে নিল,

কিছু হাড্ডি আর পচা মাংসের লোভ দেখিয়ে

বিড়াল তার কূট চালে শক্তি শালীদের হার মানাল,

পাল্টে গেল,বাঘের আচরণ রুপান্তরিত হল বিড়ালে।

গোটা জংগল আর হিংস্র বাঘের নিয়ন্ত্রনে নেই

মাসির মতই বসে বাঘের পিঠে,দাপটে বেড়ায়

কেউ নেউ তার সমকক্ষ হবার,নিজে নিজেই মহাবীর।

 

নিজেকে ভাবে মহা শক্তিশালী,

জ্ঞান ও বিজ্ঞানে অধিকারী,

ধরাকে সরা জ্ঞান করায় হল ভীষণ পটু,

জোর যার মল্লুক তার,নীতিতে হল বিশ্বাসী,

বিনা দ্বিধায়,বিনা বাঁধায়,ইচ্ছে খুশি মত

প্রচুর ইঁদুরের ভোজনে মশগুল হল।

প্রচুর ভয় ভীতি আর অন্যায় অবিচারে

ইঁদুরেরা সব গর্তে আশ্রয় নিতে বাধ্য হল।

 

সময় যায় সময় আসে

প্রতিটি অধ্যায়েরই কোননা কোন সময়ে

বিলুপ্ত হওয়ার ঘন্ট বেজে যায়।

মাসিরা দুর্বল হল

ভুল,ত্রুটি সব ধুয়ে মুছে বিদায় করতে চাইল।

কিন্তু তত দিনে

ইঁদুরেরাও সব বাঘে রুপান্তরিত হল।

 

ইঁদুর,বিড়াল ও বাঘ

আর নানা জাতির বিরাট সমাবেশ হল।

সিদ্বান্ত হল

শক্তি,হিংসা,ঈর্ষা আর অহংকারের বাড়াবড়ি নয়,

যেহেতু এ জগৎ-এ কেউ স্থায়ী  নয়,

কারোর ক্ষমতাও স্থায়ী নয়,

এখন থেকে আমরা সবাই এক জাতি।

 

 

 

 

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes