ঠিক বুঝতে পারি না
নতজানু হয়ে মাটির দিকে তাকিয়েই বসে থাকি;
আচছা এটাই কি বয়েস?
এটাই কি ভালবাসা?
এটাই কি সময়ের লেখা ললাট?
নাকি এটা বাতাসীর কালছায়া?
নাকি
নাকি প্রকৃতির প্রতিদান বিশাল ভালবাসার!
হে ঈশ্বর!
আচ্ছা নরকে কি ভালবাসা আছে?
সেই যে ছোট বেলায় হেলান পাল কে
দেখেছিলাম – চল্লিশ, পয়তাল্লিসের জোয়ান
আজও সে একই রকম,
না ডাকাতীয়া, না বট গাছটা
সেই যে একলা বাড়িটার কথা বলেছিলাম
এখনও একা একলাই আছে!
বাড়ী’র দরজায় জবা ফুলটা একই রকম
ফুটে আছে তো ফুটে আছে
ঝরে পড়ার নাম গন্ধটি পর্যন্ত নেই!
কি আর বলব
আমার বাতাসী ও যে একই হাওয়ায় দোলে!
কোথায়?
ইহকাল, পরকাল, স্বর্গ, নরক কোনটাই বুঝতে পারি নাহ!
নতজানু হয়ে মাটির দিকে তাকিয়েই বসে থাকি;
ঠিক বুঝতে পারি না
৭৪ এর দুর্ভিক্ষে যে সহপাঠি আর ক্লাসে এল না
পরপারে চলে গেল – তাকে খুব মনে পড়ে আজ
খলিলকে ও – ছোটবেলায় হারানো প্রয়াত মা’য়ের জন্যে
প্রায়ই কান্না কাটি করত – সর্বনাশী টাইফয়েট ছাড়েনি তাকেও!
রতন পোদ্দার – সেও নিখোজ দেশান্তরী, ধর্মের নামে;
আরও কত জন – কত ভালবাসা, কত মায়া!
এত ভালবাসা – এত ভালবাসি
তবে কার অভিসাপে নতজানু আমি?
নতজানু আমাকে নিয়ে
কারও মাথা ব্যাথা হবার কথাও নয়।
১১ ডিসেম্বর ২০১৫
ক্যানবেরা