কলসী কাঁখে । শফিক তপন
—————————————–
কলসী কাঁখে জল আনতে কোন সে বঁধু যায়,
হেলে দুলে ছন্দ তুলে চলে আলতা রাঙা পায় ?
নদীর পাড়ে একলা বসে কতকি ভাবছে মনে,
রাঙা ঠোঁটেযে হাসি ফোটে নিরালা সেই ক্ষণে ।
কলসী রেখে নদীর ঘাটে সে যায় তুলতে ফুল,
ফিরে এসে জল ভরতে যেতে হয়নি কোন ভুল ।
জলের কোলে কলসী দোলে হাওয়ায় দোলে চুল,
বুকের পাশে বেণী দোলে আর দোলে ঘাস ফুল ।
গাঁয়ের বঁধুর রুপ দেখেতো জল করে টলমল,
দুষ্ট হাওয়া যে খুলে দেয় তার শাড়ীর আঁচল ।
গাঁয়ের পথে চলছে একা সে ভীরু ভীরু পায়,
কি জানি লুকিয়ে আছে তার চোখের ইশারায় ।
রূপসী লজ্জাবতী বঁধুযে জল নিয়ে চলেছে ঘরে,
তৃষ্ণায় আমার বুকযে ফাটে একটু জলের তরে ।
ঝরে পড়ে রুপের মুধুরিমা যতদূর দেখা যায়,
আমার অবুঝ হৃদয় ভোলে সে রুপের মায়ায় ।
জানিনা সে কোন দূরে কোন এক গাঁয়ে থাকে,
আবার যদি আসত ফিরে মলংগ্লো নদীর বাঁকে ।
আসবে ফিরে নদীর তীরে খুঁজবো আমি যাকে,
সবুজ ঘাসে নগ্ন পায়ে সেযে কলসী নিয়ে কাঁখে ।
কলসী কাঁখে রূপসী কন্না জল আনিতে যায়,
আমার গাঁয়ের পথটি ধরে আলতা রাঙা পায়।