দেখিনু সন্ধ্যায়
রজনী গন্ধায়
ভরেছে কাননের কোণ,
ভাবিনু নিশ্চিৎ,
টুটিছে মাঘ-শীত,
হাকিছে দোরে ফাল্গুণ।
আশায় কয় পল,
নিকটে ঘ্রাণ-ঢল
দখিনা বায়ে করে ভর,
উছাসে রং সব
রচিবে উৎসব,
ঝরাবে সুখ ঝরোঝর।
আবেগী মন তাই
নিল সে পন্থাই,
পথেতে চেয়ে উদগ্রীব,
মিলিবে চিন্ তার,
গণনা-চিন্তার
শেষেতে প্রাণ সঞ্জীব।
পুত সে দৃষ্টির
প্রবাহে অস্থির
ভাবনা আরো পাবে বেগ,
থেকে সে ভরসায়
আঁসুর বরষায়
ভিজালো বিরহের মেঘ।
ধূসর চোখ চায়
বাগে সে দিকটায়,
হঠাৎ পেনু যেনো টের,
প্রসূন, বাস ছার;
তামাটে দশ ধার,
সকলি ধোঁকা সময়ের।
সহসা ম্লান স্বর
বাজিলো কান পর,-
“রহিলে শূণ্য হৃদয়,-
দহিলে বিচ্ছেদ,
ত্রি-ধরা রূপভেদ
কেবলি বিভীষিকাময়”।
(প্রকাশিত)