তুই আজ আবারও কেন নিদাঘের প্রগলভ বৃষ্টিতে
অকাতর ভেজালি তোর মনের নরম কোমল জমিন ?
তুই আজ আবারও নতুন করে কেন আমাকে পোড়ালি
তোকে কখনো না ছুতে পাবার পুরনো সেই কষ্টে ?
দীঘল বৃষ্টির বেপরোয়া জল আমার তোকে কখনো না
ছুতে পারার দীর্ঘমেয়াদী অসহায় অপারগতাকে উপহাসে
রক্তাক্ত করে আমার ঈর্ষামুগ্ধ চাতক চোখের সামনে
দিয়ে তোর মৌন প্রশ্রয়ের নির্লজ্জতায় আদিগন্ত তোকে
বারবার ছুয়ে ছুয়ে নেমে গেল ম্লান ভুমিসজ্জার গহীনে,
কি ভীষণ উদ্ধত্যে সে তোকে নিয়ে খেলল সারাবেলা,
কি ভীষণ ভ্রূকুটিতে তুইমুগ্ধ আমাকে ক্ষতবিক্ষত করল
বৃষ্টির প্রতি তোর নিঃশর্ত সমর্পণের সীমাহীন পক্ষপাত,
তোকে কখনো ছুতে না পারা আমার নিজস্বতাকে ছুয়ে
গেল আমার প্রতি তোর নীরব উপেক্ষার উদাসীনতা ,
বৃষ্টি জল তোকে ছুয়েছে, তোর স্পর্শ কি ছিল না ঐ
ডাগর জলে এই অপারগ ভাবনাময় অসহায় কষ্টের দুঃসহ
দহনে আমি ছুতে গেছি প্রতারক বৃষ্টির জলজ শরীর,
বৃষ্টি তবু ধুয়ে দিতে পারে নি তোকে ছুতে না পাবার কষ্ট,
সেই থেকে অহর্নিশ নির্মেঘ বৃষ্টি কেন শুধু বারবার ফিরে
ফিরে আসে তোর অনন্ত অদর্শন স্মৃতির রাজসাক্ষী হয়ে ?
আমার নিজস্ব অনুভবে বৃষ্টিকে নিয়ে কোন গতানুগতিক
ভালোলাগা আবেশের অনুরণন নেই কেবল তুই আমার আর
বৃষ্টির মাঝে অমোঘ নিয়তির মত দুর্লঙ্ঘ হয়ে রয়েছিস বলে,
আমার নিজস্বতায় বৃষ্টি মানে তোর নিঃশর্ত পক্ষপাতে বৃষ্টির
কাছে আমার সকরুন পরাজয়ের অমোঘ কষ্টের নামাবলী,
আমার একান্ত ভাবনায় বৃষ্টি মানে কেবলই বৃষ্টিভেজা তোকে
বারবার চেয়েও কখনো না ছুতে পারার দুঃসহ জলজ দহন ।