প্রিয় ঈশ্বর,
বহুকাল হলো,
তুমি আমায় বা আমি তোমায় একটুও বুঝতে চাইনি ।
কখনো তুমি আমায় অভিমানী বলেছো,
শাসনের নামে আঘাত করেছো বারবার, তাড়িয়ে দিয়েছো বহুদূর ।
আবার কখনো আমি তোমায় চির অভাবী বলেছি,
বলেছি তুমি শুধু নিতেই জানো, দাওনি কিছুই ।
একই সময়ে আমাদের মাঝে আমি গড়ে তুলেছি প্রাচীর, তুমি গড়েছো দূর্গ ।
তবু কখনো কোন অজানা টানে তোমার খোঁজে মন্দির মসজিদ গীর্জায় ছুটে ক্লান্ত হয়েছি,
দিন শেষে ক্লান্ত শরীরে যখন আমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন,
তখন তুমি নিবিড় ভাবে দেখেছো আমায় ।
দেখেছো আমায়, আমি জানি,
খুব কাছে ছিলে, আমি জানি ।
হয়তো ভালবেসেছিলাম ।
তবু তুমি আমি কখনো একই পথে হাটিনি ।
তুমি আমার হতে আর আমি তোমার হতে মুখ ফিরিয়েছি, সে তো বহুকাল হলো ।
কালের ব্যবধানে বারবার হোঁচট খেয়ে থমকে দাড়িয়েছি,
তবু তুমি হাত বাড়াওনি একবারও ।
তবে কিভাবে তোমার কাছে কিছু চাবো ?
কিভাবে আমি আশায় বুক বাঁধবো ?
আমার আশার মৃত্যু হয়েছিলো বারবার মানুষের হাসির মাঝে,
জেনেছো তুমি ?
না, জানো নি ।
কখনো জানতে চেয়েছো ?
না, চাও নি ।
তবু প্রিয় ঈশ্বর,
জীবন আজ আমার সামনে দাড়িয়ে নতুন করে বাঁচার আকুতি করছে,
তার অবুঝ অশ্রু এই মৃত মানুষকে জাগাতে চায় ।
বুঝেনি সে, কিছুতেই বুঝতে চায়নি ।
তাই আজ শেষবারের মতো প্রার্থনা আমার,
আসছে শীতে শুধু দু’ফোটা বৃষ্টি দিও আমায়,
আমি সব ভুলে যাবো ।
সত্যি আমি সব ভুলে যাবো ।