সারাদিন ঘুরেফিরে এই শীত গাঢ় সন্ধ্যায়—
কুয়াশায় উড়ে উড়ে গাঢ় শীত এই সন্ধ্যায়
পাখির মত নাকি মেঘের মত করে ঠিক,
না দেখেও যদি সব ঠিক বোঝা যায়—
তবে অদূরেই যে তুমি হেঁটে যেতে যেতে
ঘাসের উপর যে শিশির ক্লান্ত বসেছিল—
তোমায় পায়ের সাথে সেও চলল কোথায়?
সারাদিন ঘুরেফিরে এই শীত, গাঢ় সন্ধ্যায়।
নস্টাল-জিয়া
একটানে মহাভারত লিখে
আনমনে কাটাকুটি বেঞ্চির বুক—
সেইখানে খামোখাই আবার যদি
তোমার নামখানা খুঁজে খুঁজে—
খুঁজে পাওয়া যেত?
তখনও বসন্ত হবার আগে
এরকম শীত শীত ভাব—
কাঁপা হাতে এইসব বেঞ্চির বুকে
আরো কত ক্ষত করে লিখেছি তোমায়;
সেইটুকু ক্ষত যদি খুঁজে পাওয়া যেত?
টা-তাল
এত এত প্রশ্ন! কোন উত্তর নেই?
দুঃখগুলোরও যথাযথ কোন নাম না থাকায়
দিন এনে দিন খাওয়া অনুভূতিগুলো
চেহারায় পাপের ছাপ গাঢ় করে তোলে;
আর এইভাবে খুব ভালবাসলে টাসলে,
আর ছুঁয়ে দেখলে টেখলে, কথা বললে টললে-
টললেই নিজেকে শুধু মাতাল মনে হয়…
কথা
সব কথা শোনা গেল না। কী বলতে চেয়েছিলে আরো?
শিশির ঝরার শব্দে- পাখির ডানার শব্দে-
ফুল ফুটছে সেও এক শব্দ, যে আলো কাঁচের মত-
তার প্রায় এমনই নিঃশব্দে ছেপে গেল সেই কথাটুকু।
কী বলতে চেয়েছিলে আরো? কী এমন বলার ছিল?
এত কথা শোনা হল, কেন এইটুকু শোনা হল না?
সেও তো দুঃখ আমার- এইটুকু দুঃখ নিয়েই-
শোনা হবে অনেক কথা।