(প্রিয় লেখিকারুবিনা মজুমদার দিদিভাইকে উৎসর্গ করলাম)
দিবার প্রদীপ নেভার পরে সন্ধ্যা প্রদীপখানি
বলল আমায়-তার কথাটা ভুলে গেছিস জানি |
বলি তারে-কার কথাটা দাও করিয়ে মনে
হৃদয় আমার অপেক্ষাতে তোমার সন্ধ্যাগানে |
প্রদীপ বলে-ভুলে গেলি রত্ন মাল্য গাথা
কাল সাঁঝেতে বলেছিলি রুবিনাদি’র কথা ?
শুনেছিল রুপোলি চাঁদ দুরের সন্ধ্যাতারা
তারে নিয়ে লিখবি বলে রাত্রি হল সারা |
আমি বলি-ভুলিনি রে ভুলতে পারি কভু-
বলেই চেয়ে দেখি আমি প্রদীপ নিভু নিভু !
বিদায় বেলা বলে গেল-আসব রে কাল ফিরে
রবিনাদি’র পরশ মাখা কাব্য নদের তীরে |
___________________________
ওগো দি’ভাই প্রদীপ গেল তোমার কথা বলে
সীমাহীনা আঁধার এলো সন্ধ্যা গেল ঢলে |
হাজার তারা ফুটল সবে দুরাকাশের গায়ে
তুমি এলে নুপূর দু’পায় বৃক্ষস্মৃতি ছায়ে |
ওই হেঁটে যাও নীল নয়না এক পৃথিবী দূরে
ভাইটি তোমার ক্লান্ত বড়ো মৃত্যু কাঁথা মুড়ে !
ও দিদিভাই তোমার তো ওই পুবের দেশে বাড়ি
হলো না এই জন্মে দেখা ওগো স্নেহের নারী |
বিদায় পত্র ভাসায় দেবে অথই গঙ্গা পানি
পদ্মার বুকে খুঁজে নিও পত্রতরী খানি |
পত্র পড়ে বার্তা করো পুবেল সমীরনে
বিদায় দিতে রাখো তুমি নক্সী কাঁথা বুনে |
মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে আমি যাব পরলোকে
কাব্যখানা রইবে পড়ে এই পৃথিবীর বুকে |
আর বেশিদিন নয় গো দি’ভাই যেতেই হবে চলে
বিদায় বেলা একটু মাথা রাখতে দিও কোলে |
নিথর দেহে ঢেকে দিও স্নেহের নক্সী কাঁথা
স্বর্গে গিয়েও পড়বে মনে রুবিনাদি’র কথা |
___________________________
N:B – আমার এই কবিতাটি প্রিয় লেখিকা
রুবিনা মজুমদার দিদিভাইকে উৎসর্গ করলাম |
দিদিভাই তোমার এই ইচ্ছাটুকু রাখতে পেরে আমি ধন্য,
তবে জানি না কতটা সফল হয়েছি দৃঢ় বাস্তবের আলিঙ্গনে
মনের ভাব পরিস্ফুটনের দুরন্ত প্রয়াসে.. |