কবিতাটা আজকাল প্রায়ই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়
কিন্ত শব্দ হয়ে, কলম দিয়ে কাগজে আশেনা
লিখব বলে যখনই বসি বউ এসে দাড়ায়
রুদ্র মুতি হয়- আবার শুরু করেছো ছাই পাস?
কি হবে এসব লিখে? নোবেল পাবে? নাকি রবিন্দ্রনাথ?
বড়টার স্কুলের নোট দেখেছো? ছোটটাকে হোম ওয়াক করাও,
Math এ কতো পেলো খেয়াল করেছো? Kumon –এর হোম ওয়াক?
এসবের কি হবে?
হায় সুকান্ত – খুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
আর আমার পদ্য – সংসারের জাতাকলে,
ক্যানবেরার শীতে পথ হারায়।
বড় ছেলে বলে – বাবা স্কুলে চলো, আজ আমার এসেম্বি
বাবা ছেলে বড় হল রুমে এসে দাড়াই
বন্দু দের সাথে আমার ছেলে দাড়ায়- বুকে হাত রাখে
তাড়স্বরে গায়- Australia……………..।
আমার মাথা নত হয়ে যায়, চোখ ঝাপসা হয়
হৃদয়ের সেলুলয়েডে ভাসে ধলেস্বরীর নিমল জল
জোস্না রাত, পাল তোলা নৌকা, লঞ্চ ঘাটের হূল্লড়,
বন্দুদেড় সাথে ইদ্রকপুরের আডডা, মন্দিরের অস্বথের ছায়ায় তাস খেলা।
ফায়ারের মোড় , নাম দিয়ে ছিলাম যার আগুন মোড়,
সদ্য ধুমপানে আসক্ত কিছু কিশোরের রাত জগে হূল্লড়,
পহেলা বৈশাখ, ফুল চুরি করে একুশে উ্যযাপন।
আমার ছেলে কোনো দিন জানবেনা
“আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি”
এগান ওর বাবার হৃদয়ে, অন্তরে, চেতনায় কি আগুন ধরাতো।
একেই কি বলে – একটা স্বপ্নের সমাপ্তী? চেতনার মৃত্যু?
এই ভুখণ্ডে আমিই কি এ বংশধারার শেষ বাঙ্গালী?
ক্যানবেরা
৪/৭/২০১৪