পোড়ানো মাটির ঢেলা আর ভস্মস্তূপ গ্রামগুলো
চোখে পড়েছিল সেদিন শুধু,
বিজয়ী বেশে বাংলায় যখন দাঁড়ায়েছি আসি।
বাতাসে শুনেছি শুধু আর্তনাদ
বেদনার কাতরানী,আর-
ধর্ষিতা নারীর ক্রন্দন রোল,
পথ-প্রান্তরে দেখেছি শুধু রক্তের দাগ,
বিমর্ষ দেখেছি পশু পাখি সব,
মাঠে চড়েনি গরুগুলো,সন্ত্রস্ত জনতা,
হতাশায় বিধৃত ছবি।
উঠোনগুলো ভরে আছে আগাছায়,
পোঁড়া বাঁশ গুলো দাঁড়িয়ে আছে অর্বাচীনের মত,
মনে হয় জিজ্ঞাসে আমারে, ‘কে তুমি’?
বাষ্পিত চোখ,রুদ্ধ কন্ঠ,ধূঁকিছে অন্তর
এ-ই কি আমার জন্মভুমি?
অর্ধ দগ্ধ মাতৃ গৃহে ফিরে দেখি,-
মায়ের বিবস্ত্র দেহখানি,পাশে বোনের শব,
পৈশাচিকতার তান্ডব লীলার জাজ্জল্য প্রমান,
কিলবিল করে পোকা দেহের উপর।
কাঁঠাল গাছটার সাথে বাঁধা বাবার দেহটা-
বেয়নেটের আঘাতে শতছিন্ন,পদতলে-
জমাটা বাঁধা রক্তের স্তুপ।
নির্বিকার দাঁড়িয়ে দেখেছি,পোড়া ভিটায়,
সেই পোড়ানো মাটির ঢেলা আর-
ভস্ম স্তূপের গ্রামগুলো।
সুন্দর লেখা, ভাল লেগেছে কবি।
ধন্যবাদ 🙂
ভাল লেগেছে। শুভাশিস রিল।
besh laglo
খুব সুন্দর হয়েছে দাদা 🙂