গরমে নদীতে দিয়ে ঝাপ
কোনভাবে গ্রীষ্ম যেত কাটি;
কেটে যেত বেলা বৃক্ষ তলে
বিছিয়ে সে ঐ শীতল পাটি।
যেন শুধু গরীবেরা সবে
ভালোবাসে এই দেশ মাটি;
আর বৈশাখী গন্ধ পেলেই
বড়দের স্ফূর্তি ফাটাফাটি।
বৈশাখ হয়েছে আজ যেন
এক সে ফ্যাশন বড়লোকি;
ঈদ,পূজাতেও আজকাল
এতো কাপড় হয় না বিকি।
মিহি সুতোয় বুনা কাপড়ে
শরীর করে যে ঝিকিমিকি;
রবি কি ভালোবেসে ছিলেন
এমনই সোনার বাংলা কি?
গ্রীস্মের এ ব্যাপ্তি দু’টো মাস
শুধু বৈশাখের সবি মিষ্ট;
তবু গরীব পায় না খেতে
ইলিশ;শুধু যে মনোকষ্ট।
আর আড়ালেই পড়ে রয়
এতো ফলের মাহিনা জ্যৈষ্ঠ;
কোন খুশীই পায় না দরিদ্র
তবু বৈশাখই যেন শ্রেষ্ঠ।
কত আয়োজন ঘরে ঘরে
বৈশাখী নাচ,রঙের মেলা;
দামী তরমুজ,কাঁচা আম
গরীবে করে বিদ্রূপ খেলা।
হে গ্রীষ্ম,তুমিও দিলে যেন
সঙ্গ বিত্তের,দীনে অবহেলা;
শতাব্দীর হেন গ্রীষ্মকাল
এই বুঝি সোনার বাংলা।