নিষ্ঠুর বাতাসে আজ শুধুই বিরহের বীণা বাজে।
নিদ্রাহীন রজনী কাটে নিঃসঙ্গ নিশীথ শয়নে।
বিদায়বেলার হারানো সুর বেজে যায় নিরবধি আমার প্রাণে।
মঙ্গল প্রদীপের দীপশিখা নিভু নিভু জ্বলে অমঙ্গলের এক অশনি আশংকায়।
বুকের ভিতরে ক্ষীণ আশা, আমার ঘুমবতী কন্যা হয়তো আসবে আবার ফিরে,
প্রেমের বাতায়ন নিয়ে না আসলেও হয়তোবা বন্ধত্বের পরশ নিয়ে।
তোমার নিষ্ঠুর নীরবতা ক্ষত বিক্ষত করে আমার হৃদয় অনুক্ষণ।
নির্ঘুম তন্দ্রাচ্ছন্ন আবেশে হঠাথ জেগে উঠি কোন দানবীয় আতংকে।
আর জেগে জেগে দেখি শুধু অলীক এক দিবাস্বপ্ন।
মায়াবী পরশে আলিঙ্গন করছো তুমি আমায় পরম নির্ভরতায়।
অলীক আর দুঃস্বপ্নের ভাঙ্গা গড়ায় কাটছে আমার দিন রাত্রি।
স্তব্ধ পারিপার্শিকতা যেন আমায় উপহাস করছে তার বক্র হাসিতে।
তোমার মায়াবী কন্ঠের রিনিঝিনি সুললিত ঝংকার,
আজও কানে বাজে যেন ছন্দময় সুরের প্রণতি।
তোমার তীক্ষ্ণ তবু মোহনীয় চোখের চাহনী,
এখনো হাতছানি দিয়ে আমায় ডাক দিয়ে যায়।
তোমার আত্মপ্রত্যয়ী ঋজু হেটে যাওয়া,
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আবেদনময়ী নৃত্যের মুদ্রা, ফক্সট্রট নয়তো ট্যাঙ্গো!
আজ এসবই স্মৃতিপটে আঁকা ছবি।
এখনও আমার হয়নি শেষ অবগাহন করা
তোমার মন ভালো করা রূপ, রস, কথামালা আর চাহনী।।