ছুঁটছি পথে-প্রান্তরে, কিসের নেশায় যেন মত্ত হয়ে
চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে অশিথীল অমানিশার দেয়াল;
তবুও যেন অশান্ত অস্থির চিত্ত উড়তে চায় শ্বেত পায়রার ডানা পেয়ে।
মনের মধ্যে তীব্র বাসনা, শ্রেষ্ঠ হওয়ার তীব্র কামনা,
লালন করেছি বুকের ভেতর বহু যতন করিয়া।
হতে চেয়েছিনু কভু মনীষা কিংবা পারিজাত
ক্ষুদ্র এ জীবনটাকে হয়ত শ্রেষ্ঠত্বের শিয়রে বসানোর ব্যাকুল অভিলাষ।
হয়ত আবার অভীপ্সু হৃদয় হাতটা বাড়ায় কালজয়ী হওয়ার বাসনার দিকে,
অতৃপ্ত এ অস্থির চিত্ত কখনও হয়ত ছুঁতে চায় গগন রাঙানো নীলকে।
কখনও বা সাধ জাগে নগ্ন পায়ে হাঁটতে কাঁধে নিয়ে সক্রেটিসের প্রশ্ন ঝুলি,
কখনও আবার গর্বভরে উড়ায়ে যাই ভিনদেশীদের মুখের বুলি।
মনটা আবার কখনও বলে হতাম যদি লিওনার্দোর মোনালিসা;
সকলেরে তবে বলতে পেতাম শ্রেষ্ঠ হওয়ার সেই কিসসা।
কখনও আবার ইচ্ছে বদলায়, হতে চায় যেন কোন কবির শ্রেষ্ঠ চরিত্র,
বিশাল ব্রহ্মাণ্ডের বিশাল এই আয়োজনে হয়ে পড়ি বড়ই বিচিত্র।
শ্রেষ্ঠত্বের নেশায় উন্মাদ হয়ে ছুঁটছি পথে প্রান্তরে,
যেতে হবে দূর, হতে হবে যেন চির অম্লান এই ধরণীর তরে।
কখনও যেন বাসনা জাগে হব শ্রেষ্ঠ কোন মানুষের জীবনেরই শ্রেষ্ঠ মানুষ,
বিশ্ব অবাক তাকিয়ে রবে, হব তবে কোন কালপুরুষ।
হাতটা বাড়িয়ে ছুঁতে চেয়েছিনু যবে,
চোখের সামনে খেলতে থাকা ইচ্ছেগুলোকে;
কিন্তু এ কি? এ যে মরীচিকা, মুহূর্তেই হারিয়ে গেল শ্রেষ্ঠত্ব
পারলাম নাতো কভু কাহারও জীবনে হতে শ্রেষ্ঠ।
ভেবে ভেবে করছিলাম কালক্ষেপণ মনে বড় আক্ষেপ নিয়ে,
খেয়াল করলাম একটি শীতল ছায়াময় হাত যেন মাথার উপরে।
তাইতো! টের পাইনি কো কভু আগে মরীচিকার পিছে ছুঁটতে গিয়ে,
মা, শ্রেষ্ঠ মানুষ আমি তোমারই জীবনে।