ধূসর অন্ধকার,কাদা মিশ্রিত রাস্তা
খেয়ার ঘাটে ছিলনা মাঝি।
তারপরে দুস্তর মরুপ্রান্তর অজস্র বালুরাশি
তাতেই পাড়ি জমিয়েছি আমি ক্লান্ত এক পথিক,
আপনার প্রেম রক্ষার্থে ।
আকৃষ্ট করবার মতো ছিলনা কোন গুণ আমার
তবুও নিজ গুণে সে প্রভাতের সূর্যের আলো গায়ে মেখে,
জলমিশ্রিত শাপলা,গন্ধহীন কড়িফুল কিংবা সূর্যমুখি,
অসম্ভব সব ফুলের মত হেসে হেসে ডাকত;
আমায় দিনের বেলায়।
সূর্য ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লীন হতো
সেই আকাশের বুকে।
সেই আকাশের বুকে যখন ঘোর অন্ধকার
চারিদিকে ঝি ঝি শব্দের কলতান,
সমস্ত ব্যস্ততার অবসান ঘটিয়ে
পথিকের নীড়ে ফেরার আয়োজন।
তখন ও আমি ক্লান্ত হয়ে পথ চলি
কারন সে রজনী গন্ধার মৃদু গন্ধে,
ডাকত আমাকে।
রজনী কেটে যখন আসে দিন,
ভুলে যাই তখন সমস্ত শরীরের ঋণ।
এই বুঝি তার কাছে এলাম ভেবে
পথে দেখেছি কত লাশ পচে গেছে,
দেখেছি কত স্বজনহারা মানুষের কান্না।
বুঝেছি অনাহারে থাকার যন্ত্রণা
সয়েছি কত নিদারুণ কষ্ট,
উপলব্ধি করেছি পেয়ে হারানোর বেদনা।
লোকমুখে শুনলাম একটি ছেলে যুদ্ধে গেছে
আসবেনা ফিরে এমনও হতে পারে,
তবুও মা পথপাণে চেয়ে আছে দুই যুগ ধরে।
দেশ হয়েছে স্বাধীন; পরাধীনতা হয়েছে লীন
তবুও মা পথপানে চেয়ে।
এখন পর্যন্ত যা দেখেছি; তাতে দেখার আরো
দিনদিন পিপাসা যাচ্ছে বেড়ে।
কিন্তু আমি অনেক ক্লান্ত
বয়স অনেক হয়েছে, শক্তিও নেই দেহে
তবুও পথ চলছি,আপনার প্রেম রক্ষার্থে।