চন্দ্রনীলা

গ্রহণ লেগেছে পূর্ণ শশীতে
অমাবস্যার আঁধার ঘিরে রেখেছে
সমগ্র পৃথিবী।
আজও কাটেনি অন্ধকার
কি করে কাটবে!
তুমি যে অভিমান করে আছ
আজও ভাঙেনি তোমার অভিমান।

কবে ভাঙবে তোমার এ অভিমান?
কবে সামনে এসে দাঁড়াবে তুমি?
কবে দুটি হাত ধরে, চোখে চোখ রেখে-
বলবে, আমি এসেছি? কবে আবার
কেটে যাবে আঁধার? আসবে পূর্ণিমা?
কবে? কবে?

আবার কবে নিগূঢ় আলিঙ্গনের
উষ্ণতায় কানে কানে বলবে- দেখ,
কি অপূর্ব জোছনার হাসি! আজ
দুজনে জোছনায় স্নান করি চলো।
এসো, আমার হাত দুটি ধর; দেখ,
ঐ দূরে শান্ত সমুদ্রের নীল জল
ইশারায় ডাকছে আমাদের। চলো-
সমুদ্র-বিলাস করি।

সেকি! তুমি এখনও দাঁড়িয়ে আছ!
জোছনা উপচে পড়ছে নিবিড় বনছায়
নরম দূর্বায় জমে থাকা শিশির কণা
মুক্তোর গালিচা বিছিয়ে রেখেছে।
এসো, হাত ধর। আজ রাতে দুজনে
হারিয়ে যাই ঐ তেপান্তরে।
শিশির ভেজা ঘাসে পা ভিজিয়ে
চলে যাই অনেক দূর। চলো-
ধর আমার হাত।
কবে বলবে তুমি?
কবে বলবে একথা?

না হয়, একটি জোছনায় পারিনি তোমায়
নিয়ে সমুদ্র-বিলাস করতে। না হয়,
একটি রাত পারিনি তোমায় নিয়ে-
তেপান্তরের মাঠে শিশির ভেজা দূর্বায়
পথ চলতে। না হয়, একটিবার পারিনি
তোমার চোখের ভাষা বুঝতে। তাই বলে,
আজও অভিমান করে রবে-
আমার উপর!

আর কতদিন,
কতদিন এভাবে দূরে থাকবে তুমি?
আর কতদিন এভাবে কাঁদাবে আমায়?
আর কতদিন অভিমান করে রবে?
কতদিন তারা হয়ে জ্বলবে ঐ দূর আকাশে?
এই আঁধার, এই নিস্তব্ধতা ভেঙে আর
আসবেনা তুমি। তবে তাই হোক,
আর একটু অপেক্ষা কর-
আমিও আসছি।
আকাশের নীল শাড়ি পড়ে, সমুদ্রের নীল
টিপ পড়ে, জোছনার স্নিগ্ধ আলোয় তারার
বাসর সাজিয়ে একটু অপেক্ষা কর
আমি সত্যিই আসছি, চন্দ্রনীলা-
আমি আসছি।

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes

One thought on “চন্দ্রনীলা

Comments are closed.