অন্ধকারের রূপ
– যাযাবর জীবন
রাত পাহারায় রাতভর
আমি, তুমি, সে
চাঁদ, তাঁরা, প্রকৃতি
চলো না দেখে আসি
আমাদের সাথে সাথে
কজন জেগে আছে?
অন্ধকার নেমে আসে
চাঁদ হাসে
জ্যোৎস্না খেলে চাঁদনি রাতে
কখনো ঘোর অমাবস্যা
মুচকি হাসি তাঁরার ঠোটে
মিটমিট করে কথা বলে
রাত নামে
চারিদিক থমথম
ধনীর ভয় তস্করে
মায়ের ভয় ঘরে কুমারী মেয়ে
বাবার দুশ্চিন্তা
ছেলেটা এখনো এলো না ঘরে
দাদীর কোলে মাথা রেখে চোখ ঘুম ঘুম
রূপকথার জুজুবুড়ি এলো বলে
রাত নামে
অন্ধকার নামে
কালো রিপুগুলো থাবা মেলে
মুচকি হাসি নিশিকন্যার ঠোঁটে
টাকার টংকারে খিলখিল খেলে
রাত নামে
অন্ধকার চারিধার
সুখী দম্পতির মুখে হাসি
পরস্পর বাহুডোরে
কিছু দম্পতি খাটের দুপাশে
নির্ঘুম চোখ প্রহর গোনে
কালরাত ভোরে;
ঐ যে একটা বুড়ো ভাম
যুবা প্রেয়সীর বুকের ওম খোঁজে
শুয়ে থেকে স্ত্রীর বুকে মুখ গুজে;
ঐ যে দেখ, কুলবধু নারী
পরম নির্ভরতায় শোয়া স্বামীর বুকে
চোখে ভাসে নতুন পুরুষ
মনে নতুন স্বপ্ন আঁকে;
দিনের বেলায় এরাই কি অবলীলায়
সংসারের সং সাজে।
রাত হাঁটে অন্ধকারে
একজন ঘুমের ঘোরে হেঁটে চলে
একজন নিজে নিজে কথা বলে
কেও ছেঁড়া চটে হুহু কাঁপে
কেও নাক ডাকে লেপের তলে
রাতজাগা কানে বড্ড বাজে।
রাত গভীর হয়
ঠকঠক হেঁটে যায় শীতবুড়ি
লাঠিটা এবার বদলাতেই হবে।
রাত হাঁটে অন্ধকারে….
ভাল লেগেছে।